আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে উপার্জন করুন

আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

আমাজান হচ্ছে অনলাইনে প্রোডাক্ট কেনাকাটা করার সবচেয়ে বড় মার্কেট। এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় ছোট থেকে বড় সব ধরনের পন্য পাওয়া যায়। এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে, অন্য কারো কোন প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট কমিশনের উপর ভিত্তি করে বিক্রি করে দেওয়া। এফিলিয়েট মার্কের্টিংয়ের জন্য প্রচলিত অনেকগুলি মার্কেটপ্লেস থাকলেও আমাজান এফিলিয়েট মার্কটিংকেই পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থানে রাখেন বেশিরভাগ মার্কেটার। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই কমার্স সাইট আমাজান ডট কম। আমি যখন একজন এফিলিয়েট মার্কেটার, তখন অন্যের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে বিক্রি করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমি কমিশন পাবো। অর্থাৎ, আমার কোন প্রোডাক্ট নেই, প্রোডাক্ট আরেকজনের। তার প্রোডাক্ট আমি সেল করে দিবো, তার বিনিময়ে সেই প্রোডাক্টের দামের একটা অংশ আমাকে দেওয়া হবে। অনলাইনে এটা খুবই পপুলার একটা সেলস স্ট্র্যাটেজি প্রডাক্টের বিক্রি বাড়ানোর জন্যে। আমাজানের সাইটে থাকা প্রডাক্টের বিক্রি বাড়ানোর জন্যে এমন একটা প্রোগ্রাম তৈরী করেছে; যেটার নাম আমাজান এ্যাসোসিয়েটস প্রোগ্রাম। আর প্রত্যেক এ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে আমাজান অ্যাসোসিয়েট বলা হয়। আমাজানের কোটি কোটি প্রোডাক্টের মধ্যে আমার পছন্দ অনুযায়ী প্রোডাক্ট প্রোমোট করবো, সেল করতে পারলে সেই প্রোডাক্টের দামের একটা নির্দিষ্ট অংশ পাবো। সেই অংশ কতো সেটা নির্ভর করে আমার বিক্রির পরিমাণের উপর। আমাজান হলো বিশ্বের প্রথম স্থান দখলকারী ই-কমার্স সাইট, যেখানে লক্ষাধিক পন্য দ্রাব্য ও সেবা সামগ্রী রয়েছে। মানুষের প্রতি দিনের ব্যবহারের সকল কিছুই এখানে পাওয়া যায়। বর্তমানে আমাজানে পাওয়া যায় না এমন কোন প্রোডাক্ট নাই। তাই সহজেই আমাজানের অসংখ্য পন্য থেকে সুবিধা অনুযায়ী পন্য নিয়ে কাজ করতে পারা যায়।




আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করা যায়?

সাধরনত আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য তিনটি পথ আছে। যেমন:

১। নিশ সাইট তৈরি করে

২। আমাজান স্টোর তৈরি করে

৩। ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে

নিচে প্রতেকটি মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১। নিশ সাইটঃ

নিশ সাইট বলতে বুঝায়, আমাজানের যে কোন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে তার উপরে সেই প্রোডাক্ট এর সকল তথ্য সম্বলিত একটি সাইট। যাহা আমাজানে ক্ষুদ্র একটি ক্যাটাগরির একটি প্রডাক্ট নিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। উদাহরন স্বরূপ বলা যায়, কফি মেকার একটি নিশ। অর্থাৎ, হোম এন্ড গার্ডেন ক্যাটাগরি, কুকিং বিভাগের ছোট্ট একটি নিশ হলো, কফি মেকার। ঠিক এভাবেই প্রত্যেকটি পন্যের উপর আলাদা আলাদা ওয়েব সাইটকে নিশ সাইট বলে। আর এই সাইটের মধ্যে কফি মেকার সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য থাকবে। এভাবে আমি আমার নিশ সাইটে আমাজান প্রোডাক্ট এর লিংক দিয়ে প্রোডাক্ট সেল করতে পারবো। আর যদি একটু বড় ভাবে, মূল ক্যাটাগরি উপরে কোন সাইট তৈরি করে প্রাডাক্ট প্রমোট এর জন্য কাজ করা হয় তাকে, অথরেটি সাইট বলে। নিশ সাইট ও অথরেটি সাইটের কাজ এক’ই কিন্তু অথরেটি সাইটে অনেক প্রডাক্ট সম্পর্কে লেখা হয়। এটাকে মাল্টি নিশ ও বলা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় কারো মাল্টি নিশ নিয়ে কাজ করা উচিৎ নয়। কারণ, এই জাতীয় সাইট অনেক ব্যয় বহুল। এবং বহু আর্টিকেল পোস্ট করতে হয়। অন্যদিকে, অথরেটি সাইটের সুবিধাও আছে। যেমন নিশ সাইটের ক্ষেত্র যদি সাইট রেংকিং  করানো সম্ভব না হয়, তবে সকল প্লানই ব্যার্থতায় পরিনত হয়। আর অথরিটি সাইটে কোন না কোন প্রাডাক্ট এর মাধ্যমে সাইট রেংকিং করানো সম্ভব হবেই।

২। আমাজানে স্টোর তৈরি করেঃ

আমাজান স্টোর বলতে বুঝায়, আমাজান থেকে প্রডাক্ট নিয়ে একটি ই-কমার্স সাইট তৈর করা। অর্থাৎ একটি দোকান তৈরি করা যেখানে আমাজানের প্রডাক্ট বিক্রয় করা হয়। অন্য সব ই-কামার্স সাইটের মত এখান থেকেও মানুষ প্রোডাক্ট ক্রয় করতে পারবে। শুধু পেমেন্ট এর জন্য তাকে আমাজানের পেমেন্ড অপশনে যেতে হবে। সহজে বলা যায়, ক্রেতা ক্রয়ের জন্য আমার সাইট থেকে পন্য সংগ্রহ করবে এবং পেমেন্ট পেইজটি হবে আমাজানের এর। পন্য বিক্রয় হলেই কমিশন পাওয়া যাবে। মূলত, এটি একটি ব্যয় বহুল মার্কেটিং প্রক্রিয়া। যাহা প্রাথমিক অবস্থায় কারো পক্ষে সুফল বয়ে আনে না। কারণ, আমাজান স্টোর এর জন্য পেইড ট্রাফিক নিয়ে কাজ করতে হয়। সুতারাং এই জাতীয় কাজ করতে হলে, তাকে পেইড ট্রাফিক এ কাজ করা দক্ষ মার্কেটার ছাড়া লাভ জনক হওয়া সম্ভব নয়।

 

৩। ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমেঃ

ইউটিউব হলো বর্তমান বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় সোসাল মিডিয়া। যাহার মাধ্যমে যে কোন ব্যাক্তি তাদের ভিডিও শেয়ার করতে পারে। তাই, ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমেও আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। এটা সাধারনত বাংলাদেশের মার্কেটারদের কাছে ততটা জনপ্রিয় না। তবে বিশ্বের অনেক দেশের লোকজন ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে মার্কেটিং করে আসছে। এটা বাংলাদেশে প্রধান্য না পাওয়ার কারণ হলো, ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে প্রডাক্ট প্রমোট করতে হবে সঠিক উচ্চারন সহ ভয়েজ দিয়ে কোয়ালিটি ফুল ভিডিও তৈরি করতে হয়। ভাল কোয়ালিটির ভিডিও তৈরি করতে না পারলে, ইউটিউব থেকে আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব নয়।

আপনি কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করবেন?

এক জন নতুন অনলাইন মার্কেটার হিসেবে কিংবা বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে, নিশ সাইট তৈরি করে আমজান এফিলিয়েট মার্কেটিং করাটাই সব থকে ভাল উপায়। বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক লোক নিশ সাইট তৈরি করেই কাজ করতেছে। সুতারাং একটি নিশ সাইট তৈরি করে, আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হবে। আর নিশ সাইট তৈর করা যেমন কম ব্যয়বহুল, তেমন রিস্ক কম থাকে।

আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ১০ টি ধাপ:

১ম ধাপ: নিশ সিলেক্ট করা

২য় ধাপ: প্রতিযোগী সম্পর্কে ধারনা

৩য় ধাপ: ভাল মানের সঠিক ডোমেইন হোস্টিং নির্বাচন

৪র্থ ধাপ:  সাইট ডিজাইন ও সেটআপ করা 

৫ম ধাপ: এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কতিপয় থীমের তালিকা

৬ষ্ঠ ধাপ: ভালো মানের কন্টেন্ট পাবলিশ করা

৭ম ধাপ:  অনপেজ অপটিমাইজেশন/ এসইও ডেভেলপ করা

৮ম ধাপ: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

৯ম ধাপ: ভালো মানের লিঙ্ক বিল্ডিং করা

১০ম ধাপ: কাঙ্ক্ষিত কনভার্সন রেট যাচাই করা

১ম ধাপ: নিশ সিলেক্ট করা

নিশ সাইট থেকে আয়ের জন্য আমাজান সাইটটি  ভালোভাবে দেখতে হবে এবং লাভজনক নিশ বাছাই করতে হবে। আমাজান সাইটটিতে  রয়েছে হাজারও ধরনের প্রোডাক্ট। সেগুলো থেকে দেখে ঠিক করতে হবে কোন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজে নামতে হবে। প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার সময় সেটার রিভিউ দেখে বুঝতে হবে মার্কেটে পণ্যটির বর্তমান অবস্থা কেমন বা চাহিদা কেমন রয়েছে সেটা যাচাই করতে হবে। আমাজন নিশ সাইটের জন্য কী-ওয়ার্ড সিলেক্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ, কারণ কী-ওয়ার্ড ভুল হলে নিশ সাইট থেকে কোনো কমিশন আসবেনা। কী-ওয়ার্ড সঠিকভাবে সিলেক্ট করে নিশ সাইটটিকে অপ্টিমাইজ করলে নিশ সাইটটি রাঙ্কিং এ চলে আসবে।

কাজের শুরুতেই আমাজনের বেস্ট সেলিং প্রোডাক্টগুলো দেখতে হবে। কী-ওয়ার্ড সিলেক্ট করার জন্য টুলস হিসেবে গুগল কী-ওয়ার্ড প্লানার, কী-ওয়ার্ড রিভিলার বা লংটেইল প্রোপাটিনাম ব্যবহার করা যায়। প্রডাক্ট নিবাচনের সময় নিম্নোলিখিত বিষয় খেয়াল করতে হবে:

১। মেইন নিশ/ কি-ওয়ার্ড এর সাথে মিল রেখে পণ্যের ক্যাটাগরি নির্বাচন করা।

২। নিশ এর জন্য পণ্য বাছাই করা।

৩। পণ্যের রিভিউ

৪। পণ্যের চাহিদা

৫। বিক্রির উপর কমিশন

যেভাবে কি-ওয়ার্ড গুলো নির্বাচন করা যায়:

Product Name/Keyword + Review

Product Name/Keyword + Reviews

Best + Product Name/Keyword

Cheap + Product Name/Keyword

যে ক্যাটাগরির প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করা হবে সেটার সাথে মিল রেখে কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। অন্য কি-ওয়ার্ড দিয়েও নিশ সাইটটিকে টপে নিয়ে আসা যাবে কিন্ত প্রাপ্ত ট্রাফিক কোন কাজে আসবে না।

নিশ সাইটের ধারনা নেয়ার জন্য iWriter Profile, Niche Discover, TopTenReviews.com এবং আমাজনের হাজারো প্রডাক্ট রিভিউ পড়তে হবে। এভাবে লাভজনক নিশ প্রডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেন প্রডাক্টের বেশ কিছু রিভিউ থাকে এবং দাম যেন বেশি হয়। যে ধরনের প্রডাক্ট নির্বাচন করা হবে তার সাথে কিছু আনুসঙ্গিক প্রডাক্টও রাখা যেতে পারে। ফ্যাশন বিষয়ে নিশ সাইট নিলে সেখানে ম্যান, ওমেন এর ড্রেস রাখা এবং তার পাশাপাশি আনুষঙ্গিক প্রডাক্ট হিসেবে জুতার আইটেমও রাখা যেতে পারে। কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করার জন্য টুলস হিসেবে গুগল এডওয়ার্ডস বা লংটেইল প্রো প্লাটিনাম ব্যবহার করা যায়।

২য় ধাপ: প্রতিযোগী সম্পর্কে ধারনা

প্রতিযোগীদের সম্পর্কে জানতে হবে। কী-ওয়ার্ডটি সিলেক্ট করার পরে পুরো মার্কেট যাচাই করতে হবে ও প্রতিযোগী সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে হবে। একটা নিশ সাইটের জন্য সাধারণত:

(১) সার্চ ভলিউম ১০০০ থেকে ৪০০০ থাকতে হয়।

(২) কী-ওয়ার্ড কম্পিটিশন নিশ্চিতভাবে ৩০-এর নিচে হতে হবে। (KC = Page Authority (PA) +/- Page Title Factor +/- Keywords in Domain Factor +/- Domain Length)

(৩) প্রোডাক্টটির মূল্যও ১০০ ডলালের বেশি হতে হবে।

(৪) কোন বিশেষ সময় সিজনকে ধরে কী ওয়ার্ড না নেয়া

(৫) এমন কোন প্রোডাক্ট নিতে হবে যা বছরের পর বছর ব্যবহার হয়

কোন প্রডাক্ট কিনতে সাধারণত মানুষ যেভাবে সার্চ করে :

Best/Top Rate + Product Name

Cheap + Product Name

Quality + Product Name

Product Name + For Sale

Product Name + Review/Reviews

Product Name + Coupon

Where Can I Buy + Product Name

Buy + Product Name

Best + Product Name + Review

Best + Product Name + Online

Best + Product Name + Year

VS/ Or/ Compare to + Product Name

তাই Best + Product type কি-ওয়ার্ডটা নিশ সাইটের প্রধান কীওয়ার্ড হিসেবে নেয়া বেশি যুক্তিযুক্ত।

 

৩য় ধাপ: ভাল মানের সঠিক ডোমেইন হোস্টিং নির্বাচন

সঠিক ডোমেইন হোস্টিং যাচাই করতে হবে। কী-ওয়ার্ড সিলেক্ট হয়ে গেলে ডোমেইন এবং হোস্টিং নিতে হবে। Godaddy, Namecheap, Bluehost থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা যেতে পারে। হোস্টিংটি যেন স্লো না হয়, লোডিং স্পিডটা ফাস্ট হওয়া খুব বেশি জরুরি। ডোমেইন কেনার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে  কীওয়ার্ড যেন এক না হয়। এটাকে এক্সাক্ট ম্যাচ ডোমেইন বলা হয়। এক্সাক্ট ম্যাচ ডোমেইন আগের মত আর শক্ত অবস্থানে নেই, এক্সাক্ট ম্যাচ ডোমেইন বা লঙ টেইল কীওয়ার্ড নিলে গুগল থেকে পেনাল্টি খাওয়ার সুযোগ থাকে। তাই আনুষঙ্গিক প্রোডাক্ট বা আংশিক ম্যাচ ডোমেইন নেয়া ভালো। অর্থাৎ কীওয়ার্ডের সাথে আংশিক মেলে এরকম কিছু। যেমন, কী ওয়ার্ড যদি হয় best juicer machine আর সাইটের নাম যদি হয় bestjuciermachine.com এটা খুব একটা যুতসই কীওয়ার্ড হবে না। তার চেয়ে বরং এভাবে নেওয়া যায় efficientjucinginfo.com। খেয়াল রাখতে হবে সাইটের নামটা যেন খুব রিসোর্সফুল হয়। ডোমেইন এক্সটেনশন .com নেয়াই ভালো কেননা ভিসিটররা সহজে এটা মনে রাখতে পারে। দুই কারণে লোডিং স্পিড ফাস্ট হওয়া খুব জরুরি
(১) সাইটকে রাংক (Rank) করাতে হলে লোডিং স্পিড ভালো হতে হবে।

(২) যদি সাইটের লোডিং স্পিড স্লো হয়, মানুষ এফিলিয়েট সাইট থেকে আমাজান সাইটে যাবে না। অর্থাৎ সে আমাজান সাইট থেকে কোন প্রডাক্ট কিনবে না। Hostgator বা bluehost থেকে হোস্টিং নিলে দাম তুলনামূলক কম এবং ওয়ার্ডপ্রেসের মতো SEO user friendly সাইট।

৪র্থ ধাপ:  সাইট ডিজাইন ও সেটআপ করা 

সম্পূর্ণ সাইট সেটআপ করতে হবে এবং সাইটের কন্টেন্ট, থিম, প্লাগিন ঠিক করতে হবে। আমাজান এফিলিয়েশনের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস একটা বড় প্লাটফর্ম। এর কারন হচ্ছে:

১। Fast, Dynamic & Simple

২। Flexible for Content Managements

৩। No Big investment for setup

৪। Featured with Theme, plugin, add-ons

থিমের জন্য themeforest, mafiashare, envanto, AuthorityAzon, FocusBlog theme থেকে সুন্দর থিম নিতে হবে। থিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো আছে কিনা দেখে নিতে হবে-
১। Beautiful looking

২। Super Fast Loading Speed

৩। Mobile and Desktop user friendly

৪। WordPress Plugins For Niche Site

৫। High Quality Contents in Googles Eye

৫ম ধাপ: এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কতিপয় থীমের তালিকা

এফিলিয়েট মার্কেটিং এ নিস সাইট বানানোর জন্য প্রিমিয়াম থীম ব্যাবহার করা উচিত। তবে অবশ্যই কিনে, তা না হলে পরে কপিরাইট জটিলতা, ম্যালয়ার এট্যাক, এড ওয়্যার এর বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে পাইরেটেট থিম। আবার ফ্রি থীমে না যাওয়ায় ভালো, কেননা থীম আপডেট নাও হতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেস ভার্শন আপডেট হবার পাশাপাশি থিম আপডেট করা লাগে। নয়তো সাইট স্পামার-হ্যকাররা সমস্যায় ফেলবে। তাই প্রিমিয়াম থিম ইউজ করা ভালো।

পেইড থিম তালিকা

১) অথরিটি এজন > www.authorityazon.com/

২) সাইফা > http://themeforest.net/item/sahifa-…

৩) হুররে > http://themeforest.net/item/hooray-…

৪) ইনফোকাস বাই থ্রাইভথিম > https://thrivethemes.com/themes/foc…

৫) Pick Blog : https://themeforest.net/item/pick-a…

৬) Rupsha : http://preview.themeforest.net/item…

ফ্রি থিম তালিকা

১) http:// www.themelab.com /themes/ slipstream/

২) https:// wordpress.org/ themes/ sparkling/

৩) https:// wordpress.org/ themes/hueman/

৪) https:// wordpress.org/ themes/ignite/

৬ষ্ঠ ধাপ: ভালো মানের কন্টেন্ট পাবলিশ করা

ভালো মানের কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে। নিজে কনটেন্ট লিখতে পারলে  খুব ভালো আর না পারলে কনটেন্ট প্রোভাইডার থেকে লেখা নিতে হবে। সাধারণত নিশ সাইটের জন্য নিম্নোলিখিত কনটেন্টগুলো হলেই হবে:

একটি মেইন আর্টিক্যাল : ২০০০ থেকে ৩০০০ শব্দের।

রিভিউ আর্টিক্যাল : ১০ থেকে ১৫টি, প্রতিটি ৮০০ থেকে ১২০০ শব্দের।

ইনফরমেটিভ আর্টিক্যাল : ৭ থেকে ১০টি, প্রতিটি ৫০০ থেকে ১২০০ শব্দের।

মোটামুটি এই কয়েকটি আর্টিক্যাল হলেই যথেষ্ট। মানুষ কি লিখে গুগলে সার্চ করে তা বুঝার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য প্রডাক্ট রিভিউ ছাড়াও আনুসঙ্গিক কনটেন্ট লিখতে হবে। এজন্য

১) প্রডাক্ট রিভিউ লিখতে হবে এইভাবে Top (product) for (Target Clients)

২) বায়িং গাইড বা ম্যানুয়াল

৩) লেখার মান এমন হবে যেন রিডার/পাঠক আমাজনের সাইটে ড্রাইভ করে

৪) প্রতিযোগীদের লেখা দেখে তার চেয়ে ভাল মানের লেখা লিখতে হবে

৫) প্রডাক্টের সামারি, কাস্টমার ফিডব্যাক, প্রডাক্ট কম্পারিজন, প্রডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স কনটেন্ট বা আর্টিকেল লেখার জন্য Smallseotools, Duplicheker, Grammarly.com, Readability test, Headline checker tools সমূহ ব্যবহার করা যায়। বিশ্বখ্যাত ডিজিটাল মার্কেটার Neil Patel এর মতে, কোন লেখার ৫০% মার্কেটিং বা আকৃষ্ট করার জন্য শিরোনাম আকর্ষণীয় হওয়া জরুরি। কী-ওয়ার্ড দিয়ে লেখা শুরু করতে হবে এটাও SEO friendly হওয়ার একটা অংশ।

৭ম ধাপ:  অনপেজ অপটিমাইজেশন/ এসইও ডেভেলপ করা

অন-পেজ অপটিমাইজেশন করতে হবে। একটা পেইজকে রাঙ্কিং করানোর জন্য দুই শতাধিক এর অধিক গুগল ফ্যাক্টর রয়েছে। গুগলের একটি SEO টুলস Moz এর মতে, কোন পেইজের On Page SEO factors হল ৭০%। Meta Tag, Meta description, Url Links , H1-H3 title, robot.x, Alt -Tag , Image এসব বিষয়ই ঠিক করতে হবে। প্রত্যেক কনটেন্টে অবশ্যই High Resolution ইমেজ হতে হবে। আমাজান সাইট থেকে কমিশন নেয়ার জন্য সেটা যেন অবশ্যই আমাজান প্রডাক্টের লিঙ্ক ব্যাক হয়।

৮ম ধাপ: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো নিশ প্রোডাক্টের প্রচার ও প্রসারের জন্য সবচেয়ে সহজ মিডিয়া। ভিজিটরদের খুব সহজেই নিশ সাইটে ড্রাইভ করানো যায় এ্যাডভারটাইজ বা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে। এ্যাডভারটাইজ মাধ্যমে খুব সহজে ভিজিটরদের কাছে নিশ প্রোডাক্টটি সেল করা যায়। ফেসবুক আর টুইটার নিশ সাইট মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে বড় দুটি মিডিয়া যা একসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ও সার্চ ইঞ্জিনের উপরে খুব ভালো প্রভাব ফেলে। ফেসবুকে small fb tools ব্যবহার করে টার্গেটেড গ্রূপকে বের করে মার্কেটিং করা যায়। যারা গ্রাফিক্সের কাজ জানেননা তাদের জন্য www.canva.com ওয়েবসাইটে গিয়ে info graphic image design করে নিশ প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করা ও Twitter এর # tag ব্যবহার করে টার্গেটেড ফলোয়ার বাড়ানো যায়। এছাড়া Google Plus ও Pinterest business পেজ বানিয়ে নিশ প্রডাক্ট এর পোস্ট করা যায়। ভিডিও সাইট যেমন, ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে নিশ প্রডাক্ট এর আপডেট দেয়া ও ভিডিও মার্কেটিং করা যায় এবং Subscriber অপশন থেকে ভিউয়ার বাড়ানো যায়।

৯ম ধাপ: ভালো মানের লিঙ্ক বিল্ডিং করা

ভালো মানের লিঙ্ক বিল্ডিং করতে হবে। ভালো মানের লিঙ্ক গুগল সহজে রাঙ্কিং করে। এক কথায় যে নিশ সাইটের যত লিঙ্ক থাকবে গুগল সেটার সার্চ রেজাল্টে বেশি দেখাবে। এখন যদি কেউ নিশ প্রোডাক্ট লিখে সার্চ দেয় তাহলে ওই সাইট সে দেখবে যদি ভালো মানের ব্যাক লিঙ্ক থাকে। যখন অন্য সাইটের সঙ্গে এই সাইটের লিঙ্ক থাকবে সেটাকে গুগল অথরিটি দিবে যা নিশ সাইট রাঙ্কিং করতে সহযোগিতা করবে। গুগলের ৬৫% রাঙ্কিং ফ্যাক্টরস ব্যাক লিঙ্ক এর সাথে সম্পর্কিত। ভাল মানের লিঙ্ক বিল্ডিং করতে হলে নিচের সাইট গুলোতে লিঙ্ক করতে হবে:

Web 2.0 Sites

Article Directories

Social Media Sites

Social Bookmarking sites

Q&A Sites

Quality Web Directories

Forum posts in niche specific forums

Photo sharing sites

Infographic creation and distribution

Guest Posts

Blog outreach

Resource page link building




১০ম ধাপ: কাঙ্ক্ষিত কনভার্সন রেট যাচাই করা

কাঙ্ক্ষিত কনভার্সন রেট হল, আমার সাইটের ভিজিটর কি পরিমাণ আমাজান সাইট থেকে প্রডাক্ট কিনছে তার রেট। আমার সাইট এর মাধ্যমে যত সেল হবে অর্থাৎ ভিজিটররা যত প্রডাক্ট কিনবে আমি তত কমিশন পাবো। আমার নিশ সাইটে ভিজিটর আসছে কিন্তু যতক্ষণ না সে আমাজান থেকে কোন প্রোডাক্ট কিনছে ততক্ষনে আমি কোন কমিশন পাবো না। তাই আমাজান এফিলিয়েট লিংক ক্লিক করে আমাজান সাইট থেকে প্রডাক্ট কেনানোর জন্য কিছু জিনিস অনুসরণ করতে হবে। যেমন:

১) প্রডাক্ট রিভিউ এর শুরুতে বা শেষে call to action button in the “above the fold section” যোগ করতে হবে।

২) কন্টেন্ট এর মধ্যে Colored information box যোগ করতে হবে।

৩) প্রডাক্ট এর ইমেজ যেন ভালো মানের হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৪) Nice Looking Amazon Niche Site Conversion যোগ করতে হবে।

৫) সাইট এর আউটলুক চেঞ্জ করা

৬) sniply.com এর মত পাওয়ারফুল সাইট attention গ্রাব করার জন্য ব্যবহার করা

৮) নিশ সাইট অনুসারে আপডেট SEOকন্টেন্ট

৯) Intensive পেইজ লিঙ্ক বিল্ডিং করা

১০) ইমেইল মার্কেটিং করা

এছাড়া আমার এই নিশ সাইট পেইজে মানুষকে সাইন-আপ করার কথা বলতে হবে। আকর্ষণীয় কোন অফার রাখতে হবে যাতে মানুষ সাইন-আপ করে, একে ইস্কুইযি পেজ (Squeeze Page) বলে। যাতে ‘Subscribe’ বাটন থাকে, ইস্কুইযি পেজে ভিসিটরকে কোন অফারের মাধ্যমে উদবুদ্ধ করতে হবে। ভিসিটরকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ইনসেন্টিভ রাখতে হবে। যেমন, অসাম প্রোডাক্ট, এক্সকুলুসিভ ভিডিও, Read before you buy … ইত্যাদি। ভিসিটর কে জানিয়ে দেয়া কি কারণে সে প্রডাক্টটা কিনবে যেমন:

Why Should you learn before buying ….

10 Amazing features of ….product is here.

How nice to have this product ….

প্রডাক্ট এর ইমেজগুলি অফারের সাথে দেয়া যেতে পারে।

এই নিশ সাইটের অফারের জন্য ইমেইল প্রভাইড করে সাইন আপ করিয়ে অটোরেস্পন্ডারের মাধ্যমে সেই ই-মেইল আইডি নেয়া যায়। এই নিশ সাইটের জন্য একটি অটোরেস্পন্ডার কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যেমন :

MailChimp

GetResponse

AWeber

Fluttermail

উপরোক্ত বিষয় গুলি অনুসরন করে আমাজান এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা হলে সফল হওয়া যাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *