পিপল পার আওয়ার এর মাধ্যমে কিভাবে ঘরে বসে আয় করা যায়?

পিপল পার আওয়ার কি?

বর্তমানে পিপল পার আওয়ার বা পিপিএইচ একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। পিপল পার আওয়ার হচ্ছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। প্রচলিত অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো যেভাবে ভিন্ন ভিন্ন কাজ আউটসোর্স বা ফ্রীল্যান্সিং করার জন্য সুযোগ দিয়ে থাকে তাদের মতোই একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে কন্ট্রাক্টর তথা কাজ যিনি দিতে চাইছেন বায়ার হিসেবে সেই জব পোস্ট করতে পারেন, আবার যিনি কারিগর তথা কাজ আউটসোর্স করবেন তিনিও পারেন সেলার হিসেবে তার দক্ষতা বিক্রি করতে। একই সাথে একজন কাজ কিনতে পারবেন, আবার তা বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন করতে পারবেন। এখান থেকে হাজার হাজার বায়ার বা ক্লায়েন্ট পছন্দসই কাজ বেছে নিতে সক্ষম হয়। পিপল পার আওয়ার এর উদ্যেশ্য সামান্য ব্যতিক্রম। তাদের কথা হলো, দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এবং হাইরেট। অর্থাৎ এ মার্কেটপ্লেসটি মূলত দক্ষ প্রফেশনারদের জন্য। তাই এখানে কাজের রেটও অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক বেশি। জনপ্রিয় এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রায় সব ক্যাটাগরির কাজই করা যায়। প্রতিটি ক্যাটাগরিরই রয়েছে আবার অনেক সাব ক্যাটাগরি। আর প্রতিটি সাব ক্যাটাগরিতে প্রতিদিনই পোস্ট হয় শত শত জব এবং এই মার্কেটপ্লেসে রয়েছে অফুরন্ত কাজের সুযোগ।




পিপল পার আওয়ারে যে সব কাজ পাওয়া যায়:

  • লোগো ও ওয়েবপেজ ডিজাইন
  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট
  • সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন
  • রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন
  • সেলস এন্ড মার্কেটিং
  • সোস্যাল মিডিয়া
  • বিজনেস সাপোর্ট
  • সফ্টওয়ার ডেভলাপমেন্ট
  • ভিডিও এডিটিং
  • ডেটা এন্ট্রি
  • কপিরাইটিং
  • প্রোগ্রামিং
  • অ্যাকাউন্ট সাপোর্ট ইত্যাদি।

 

পিপল পার আওয়ারে কাজের ধরন:

পিপল পার আওয়ার একটি জনপ্রিয় ডুয়াল মার্কেটপ্লেস। এখানে সার্ভিস সেল করা যায় আবার জবে বিড করে কাজ নিয়েও কাজ করা যায়। এ মার্কেটপ্লেসে জনপ্রিয় হল নিজের সার্ভিস নিজে সেল করা। নিজের সার্ভিস নিজে সেল করার জন্য যে সেক্টরের কাজ জানা আছে ওই সেক্টরের উপর স্কিল প্রকাশ করে তা পোস্ট করা। পোস্টের মধ্যে যে বিষয়ে এক্সপার্ট এবং যে সার্ভিসটা দিতে আগ্রহী ওই সার্ভিসটা নিতে হলে বায়ারকে কত ডলার দিতে হবে তা উল্লেখ করে দিতে হবে। এছাড়াও পিপল পার আওয়ারে আওয়ার্লি অর্থাৎ ঘণ্টা হিসেবে কাজ করা যায়। আওয়ার্লি হচ্ছে মিনিপ্যাক কাজের অফার যা ১ থেকে ৫ দিনেই বায়ারকে করে দেয়া যায়। মিনিপ্যাক আওয়ার্লির কাজ সম্পাদনা হয় খুব কম সময়ে তাই বায়াররা এসব আওয়ার্লি কিনতে আগ্রহী থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। আওয়ার্লি কাজে সময় পরিমাপ করার জন্য আলাদা কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয় না ফলে কোনো ধরনের ঝামেলা নেই। সরাসরি কাজ শেষ করে নিজেই কাজের হিসেব করে তা উল্লেখ করে দেওয়া যায় ক্লায়েন্টের কাছে এবং যত ঘণ্টা কাজ করা হয়েছে সেই হিসেবেই পেমেন্ট দিয়ে দিবে।

 

পিপিএইচ এ্যাকাউন্ট তৈরি:

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সার্ভিস  সেল করতে হলে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এক্ষেএে পিপিএইচ-এর হোমপেজে কোনো সাইন-আপ অপশন না থাকায় মেন্যুবারের যেকোনো একটিতে ক্লিক করতে হবে। এখনে ক্লিক করার পর  সাইন-আপ বাটনসহ নতুন আরেকটি মেন্যুবার আসবে।

এই সাইন-আপ বাটনে ক্লিক করলে নতুন ইউজারদের জন্য একটি সাইন-আপ পেইজ আসবে, যেখানে মৌলিক কিছু ইনফরমেশন প্রদান করে এ্যাকাউন্ট অপেন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিচের তিনটি পদ্ধতির যেকোনো একটি ব্যবহার করা যাবে:

) ফেইসবুক প্রোফাইল দিয়ে সাইনআপ: যাদের ফেইসবুক এ্যাকাউন্ট আছে তারা তাদের প্রোফাইলে প্রদত্ত তথ্য ব্যবহার করে পিপিএইচ-এ এ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।

) লিংকডইন প্রোফাইল দিয়ে সাইনআপ:  লিংকড-ইন প্রোফাইলধারীরা তাদের এ্যাকাউন্টে এর তথ্য ব্যবহার করে পিপিএইচ-এ সাইন-আপ করতে পারেন।

) মেইল ব্যবহার করে সাইনআপ: ই-মেইল আইডি ব্যবহার করে এ্যাকাউন্ট তৈরি করতে নিচের তথ্যগুলো প্রয়োজন:

১) নাম: এক্ষেত্রে নামের প্রথমংশ First Name ফিল্ডে এবং শেষাংশ Last Name ফিল্ডে ইনপুট করতে হবে। নামটি অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন হতে হবে অন্যথায় অর্থ লেনদেন ও উত্তোলনে সমস্যা হবে।

২) ইমেইল এ্যাড্রেস: সাইন-আপ ফরমের এই ফিল্ডে একটি বৈধ্য ই-মেইল এড্রেস ইনপুট করতে হবে, যা পরবর্তীতে পিপিএইচ-এ লগ-ইন করতে ব্যবহার করতে হবে।

৩)পাসওয়ার্ড: এই ফিল্ডে পিপিএইচ-এ লগ-ইন করতে এমন একটি পাসওয়ার্ড ইনপুট করতে হবে।

৪) লোকেশন: এই ফিল্ডে নিজের অবস্থান/কর্মস্থল এর লোকেশন ইনপুট করার জন্য City, Country এর নাম দিতে হবে।

৫) এ্যাকাউন্ট টাইপ: সবশেষে এ্যাকাউন্টের ধরন সিলেক্ট করতে হবে। পিপিএইচ-এ তিন ধরনের এ্যাকাউন্টের টাইপ আছে।

বায়ার: যারা পিপিএইচ থেকে সার্ভিস কিনতে চান তারা এই এ্যাকাউন্ট টাইপ নির্বাচন করবেন।

সেলার: পিপিএইচ-এ যারা সার্ভিস সেল করতে চান অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সাররা এই এ্যাকাউন্ট টাইপ নির্বাচন করবেন।

বোথ: পিপিএইচ এ সার্ভিস কিনা এবং বিক্রি দুটোতেই আগ্রহী এমন ইউজাররা এই এ্যাকাউন্ট টাইপ নির্বাচন করতে হবে।

সবশেষে সাইনআপ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর লোড হওয়া পেইজে ইমেইল এ্যাড্রেসটি ভেরিফাই করতে বলবে। সেজন্য পিপিএইচ সাইন-আপে ব্যবহৃত ইমেইলে লগ-ইন করে ভেরিফিকেশন লিঙ্কটি ক্লিক করলে এ্যাকাউন্টটি ভেরিফাইড হবে।

 

পিপিএইচ প্রোফাইল সাজানো :

পিওপল পার আওয়ার এ প্রোফাইল সাজানোর জন্য ধারাবাহিক কিছু প্রক্রিয়া অনুসরন করতে হয়।  পিপিএইচ এ লগইন করার পর ইউজার আইডির উপর ক্লিক করলে যে ড্রপডাউন মেনু আসে তাতে Profile Edit অপশন থাকে। এখানে  Edit এ ক্লিক করলে প্রোফাইল কাস্টমাইজেশনের জন্য একটি এডিটেবল পেইজ আসবে। পিপিএইচ সেলার হিসেবে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ সংরক্ষণ করতে হবে।

১। ক) সাইন-আপের সময় যে নাম ব্যবহার করা হয়েছে তা এখান থেকে এডিট করা যাবে।

খ) কি পেশায় পিপিএইচ এ কাজ করা হবে তা এখানে উল্লেখ করতে হবে। জব টাইটেল হতে পারে সফটওয়্যার ডেভলপার, ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, কপিরাইটার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার ইত্যাদি।

২। ক) পেশা সংশ্লিষ্ট কোনো Cover Image যুক্ত করার জন্য সেটি ড্র্যাগ করে এই ফিল্ডে রাখলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপলোড হতে থাকবে। অথবা Browse এ ক্লিক করে ম্যানুয়ালি আপলোড করা যাবে।

খ) Profile Picture যুক্ত করার জন্যও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে। তবে প্রোফাইল পিকচারটি অবশ্যই জেনুইন হতে হবে।

৩। ক) ঘন্টায় কত ডলারে পিপিএইচ এ কাজ করতে আগ্রহী, তা এখানে উল্লেখ করতে হবে। ডলার সাইন ($) এর ডানপাশের ডাউন এ্যারো ক্লিক করে চাইলে অন্য কারেন্সিতেও আওয়ারলি রেট সেট করা যাবে।

খ) Phone ফিল্ডটিতে ব্যবহার হওয়া একটি ফোন নাম্বার যুক্ত করতে হবে। নাম্বারটি সাধারণত বায়ার বা অন্যান্য ইউজারের সাথে শেয়ারড থাকবেনা। তবে ইমারজেন্সি কারনে পিপিএইচ চাইলে এই নাম্বারটিতে যোগাযোগের করবে।

৪। একজন ফ্রিল্যান্সার প্রফেশনাল হিসেবে ক্লায়েন্টের কাছে নিজেকে আকষর্ণীয়ভাবে উপস্থাপনের জন্য About You ফিল্ডটিতে নিজের এক্সপারটাইজ এবং অভিজ্ঞতার কথা লিখতে হবে।

৫। Your Profile Skills ফিল্ডে পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিক ট্যাগ আকারে যুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে স্কিলসেট টাইপের সময় পিপিএইচ এর সাজেশন নেওয়া যাবে।

৬। বায়ারদের কাছে নিজের বিশেষত্ব তুলে ধরতে ২ মিনিটের একটি ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে রাখা যায়।

ভিডিওতে নিচের ৪টি প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে হবে

  • Why the buyer would trust you will deliver quality work?
  • What did you do in the past that proves your expertise?
  • What are your key strengths that make you stand out above other sellers?
  • Why have you chosen People Per Hour as the platform to work on?

যদিও প্রোফাইলের এই সেকশনটি অপশনাল, এটি বায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে খুবই কার্যকরী।

৭। ক) আগের করা উল্লেখযোগ্য কাজগুলো Portfolio আকারে সাজিয়ে রাখার জন্য সেগুলো Browse করে আপলোড করতে হবে।

খ) কাজগুলো যদি অন্য কোনো সাইটে উঠানো থাকে তবে সেগুলো এখান থেকে এমবেড করে দেওয়া যাবে। সেজন্য Embed from other sites ক্লিক করলে যে পপ-আপ বক্স আসে তাতে ওই সাইটে রাখা কাজের লিংক পেস্ট করতে হবে।

৮। সাইন আপের সময় যে লোকেশন উল্লেখ করা ছিলো, তা চাইলে এখান থেকে পরিবর্তন করা যাবে।

৯। ফ্রিল্যান্সারেরা যেহেতু ঘরে বসে অর্থাৎ নিজস্ব ওয়ার্কপ্লেস থেকে কাজ করেন তাই Notify Me About সেকশনে Remote Work Only রেডিও বাটন সিলেক্ট করতে হবে। ফলে পিপিএইচ পেশার ধরন এবং স্কিল অনুযায়ী এ্যাভেইলাবল বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে অবহিত করবে এবং তাতে আবেদন করার জন্য রিকমেন্ড করবে।

১০। সবশেষে ইনপুট করা তথ্যসমূহ ডাবল চেক দিয়ে Done বাটনে ক্লিক করতে হবে।

 

আওয়ার্লি কি:

আওয়ার্লি হচ্ছে মিনিপ্যাক কাজের অফার যা ১ থেকে ৫ দিনেই বায়ারকে করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে সেবাই হোক যেমন: ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স, প্রোগ্রামিং, বিজনেস প্রোপোজাল সবই আওয়ার্লির আওতায় অফার করা যাবে। মিনিপ্যাক বলে এই আওয়ার্লির কাজ সম্পাদনা হয় খুব কম সময়ে তাই বায়াররা এসব আওয়ার্লি কিনতে আগ্রহী থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। ৪০% এর উপরে আওয়ার্লি জব পারমানেন্ট বায়ার খুজে পেতে সাহায্য করবে। আওয়ার্লির একটি কাজ সম্পাদনার মানে হচ্ছে পিপিএইচ প্রোফাইলের রাঙ্কিং এ উপরে উঠা।

 

কিভাবে একটি আওয়ারলি পোস্ট করতে হয়:

পিপিএইচ এ মেনুবারের Post Hourly মেনুতে ক্লিক করলে একটি ফরম আসবে, যাতে নিম্নোক্ত ফিল্ডগুলো ফিলআপ করে আওয়ারলি পোস্ট করা যাবে।

১) নির্দিষ্ট কাজটি কত ডলারে করা হবে তা এই ফিল্ডে উল্লেখ করতে হবে। এর জন্যও can এর পর ওই নির্দিষ্ট কাজটি এবং ডলার সাইন($) এর পর ওই কাজের বিনিময়ে বায়ার কত ডলার পে করবে তার পরিমান উল্লেখ করতে হবে।

২) এই ফিল্ডে কত দিনে কাজটি ডেলিভারি দেওয়া যাবে তা সিলেক্ট করতে হবে। সাধারণত আওয়ারলি কাজগুলো ১ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিতে হয়। ৫ দিনের বেশি সময়ে ডেলিভারিযোগ্য কাজগুলো আওয়ারলি বলে বিবেচিত হবে না।

৩) কাজটি কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পরে তা এই জব ক্যাটাগরি ফিল্ডে নির্বাচন করে দিতে হবে। এখানে সাধারণত পিপিএইচ এ জব টাইটেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অথবা ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্ন কোন ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা যেতে পারে।

৪) আওয়ারলি পোস্টিং এর এই ফিল্ডটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে ক্লায়েন্ট পোস্টটি পেতে পারেন এখানে সেগুলো ট্যাগ আকারে কমা দিয়ে পৃথকীকৃত রাখতে হয়। ট্যাগগুলো টাইপ করার সময় পিপিএইচ যেগুলো সাজেস্ট করে সেগুলো বেশ কার্যকর।

৫) এই ফিল্ডে এই আওয়ারলি কাজের সাথে প্রাসঙ্গিক কোনো ইমেজ অথবা ভিডিও আপলোড করা যাবে অথবা পোর্টফোলিও সাইট থেকে এমবেড করে দেওয়া যাবে।

৬) পোস্টিং এর এই ফিল্ডটিতে আওয়ারলি সম্পর্কে আরেকটু ডিটেইল্ড বর্ণনা দেওয়া যাবে। এখানে যাই লেখা হবে তাহা আওয়ারলির সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে ও বায়ারের জন্য আকর্ষণীয় হতে হবে।

৭) আওয়ারলি পোস্টিং এর এই ফিল্ডটিও খুবই ইফেক্টিভ, যেখানে বায়ারকে কি কি এডিশনাল সার্ভিস প্রদান করা যাবে এবং যার মাধ্যমে এক্সট্রা আর্ন করা যাবে তা যোগ করা যায়।

৮) আওয়ারলিটি সম্পন্ন করতে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে রিকোয়ারমেন্টসমূহ এই ফিল্ডে উল্লেখ করতে হবে।

৯) এই ফিল্ডে আওয়ারলির জন্য ডিসকাউন্ট অফার করা যাবে তবে তাহা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্ডারের ক্ষেএে প্রযোজ্য।

১০) পরে দৃশ্যমান দুটি রেডিও বাটনের একটি সিলেক্ট করতে হবে। ফ্রিল্যান্সারেরা সাধারণত পারসনাল ওয়ার্কপ্লেস থেকে কাজ করেন বলে রিমোটলি সিলেক্ট করতে হবে।

১১) সবশেষে চেকবক্সটি সিলেক্ট করে (পিপিএইচ মার্কেটপ্লেস এর টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস মেনে পোস্ট নিশ্চিত করা) Post Hourly বাটনে ক্লিক করতে হবে।




পিপল পার আওয়ারের পেমেন্ট মেথড:

বায়ার যখন কাজের অর্ডার করে তখনই তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেয়া হয়। অর্ডার কমপ্লিট হলে এবং তা সাবমিট করা হলে পিপল পার আওয়ার থেকেই টাকা পে করা হয়। পিপল পার আওয়ারের থেকে বাংলাদেশে সাধারণত ৩টি বৈধ উপায়ে টাকা ওঠানো যায়। ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকলে সরাসরি সেই এ্যাকাউন্টে, লোকাল ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে অথবা পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পিপল পার আওয়ার থেকে আয় করা অর্থ সরাসরি এটিএম বুথের মাধ্যমে ওঠানো যায়। পিপল পার আওয়ার থেকে স্ক্রিল কার্ড দিয়েও টাকা ওঠানো যায়।

 

পিপল পার আওয়ারের ক্ষেত্রে সতর্কতা:

১) কাজের অর্ডার পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দিতে না পারলে এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।

২) মেসেজে বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় কোনো প্রকার লিঙ্ক, ছবি বা ভিডিও দেয়া যাবে না।

৩) পেমেন্ট মেথড খুব গুরুত্বের সঙ্গে যোগ করতে হবে।

৪) অন্যের এ্যাকাউন্ট থেকে কপি পেস্ট করা যাবে না।

৫) কোনোভাবে একের অধিক এ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।

৬) এ্যাকাউন্ট খোলার কিছুদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। যেমন- ভোটার আইডি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট না করলে আইডি সাসপেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭) এ্যাকাউন্ট খোলার সময় সবকিছু সঠিক তথ্য দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ভোটার আইডিতে যে রকম আছে ঠিক সেই রকম নাম ব্যবহার করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *